বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭

সংখ্যা পদ্ধতির বেজ(BASE) বা ভিত্তি

সংখ্যা পদ্ধতির বেজ:

সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি হল ঐ প্রদত্ত সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন সমূহের মোট সংখ্যা। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ-এর উপর ভিত্তি করে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন-

  1. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ১০

  2. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ২

  3. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ৮

  4. হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ১৬

পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি হল N BASE সংখ্যা পদ্ধতি।

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিঃ-

এ সংখ্যা পদ্ধতিতে দশটি অংক ব্যবহৃত হয় সুতরাং এর বেজ ১০। দশটি অংক হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯। সাধারণত প্রত্যহিক জীবনে আমরা এই সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। সাধারণ ক্রিয়াকলাপ থেকে শুরু করে জটিল সব হিসাব-নিকাশেও এই সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিঃ-

এ সংখ্যা পদ্ধতিতে মাত্র দুটি অংক ব্যবহৃত হয় ০ এবং ১ । অতএব সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ২ । একে দ্বিমিক সংখ্যাও বলা হয়। ০ অথবা ১ অংক কে বিট বলা হয়। এরকম ৮ বিট মিলে এক বাইট হয়। কম্পিউটার সিস্টেমে এই সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
০১
১০
১১
১০০
১০১
১১০
১১১
১০০০
১০০১
১০ ১০১০

চিত্রঃ দশমিক ও সমকক্ষ বাইনারি পদ্ধতিতে গণনা।


অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিঃ-

এ সংখ্যা পদ্ধতিতে আটটি অংক ব্যবহৃত হয় অতএব এর বেজ ৮। আটটি অংক হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭।

হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিঃ-

এ সংখ্যা পদ্ধতিতে ষোলটি অংক ব্যবহৃত হয় অতএব এর বেজ হল ১৬ । ষোলটি অংক হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F। এখানে A=১০, B=১১, C=১২, D=১৩, E=১৪ এবং F=১৫ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

প্রোগ্রামিং ভাষা

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ: প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটি নির্দেশাবলীর সেট কে সংজ্ঞায়িত করে, যা একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে একসাথে সংক...