মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

অধ্যায় ১ : প্রথম অংশ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : প্রাথমিক ধারণা - বহুনির্বাচনী প্রশ্ন - MCQ

প্রথমে নিজে চেষ্টা করুন, ১০ টি MCQ আছে



ঠিক উত্তর নির্বচন করলে গ্রিন রং এবং ভুল উত্তর করলে লাল রং দেখাবে

ঠিক উত্তর দেখতে সব গুলো টিক দিয়ে যাচাই করুন

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০

বাইনারি ও হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার মধ্যে পারস্পরিক রূপান্তর

বাইনারি থেকে হেক্সাডেসিমেলে রুপান্তরঃ

বাইনারি থেকে হেক্সাডেসিমেলে রুপান্তরের ক্ষেত্রে বাইনারির ৪ বিটের গ্রুপ হেক্সাডেসিমেলের একটি অংক হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হল -

পূর্ণাংশের ক্ষেত্রেঃ

  1. বাইনারি সংখ্যার ডান পাশ থেকে প্রতি ৪ বিটের গ্রুপ নিয়ে এর দশমিক মান বের করতে হবে।

  2. যদি ৪ বিটের গ্রুপ করতে ১ , ২ বা ৩ বিট কম পরে সেক্ষেত্রে সর্ব বামে ১, ২ বা ৩ বিট ০ দ্বারা পূর্ণ করে নিতে হবে।

  3. যদি ৪ বিটের গ্রুপের দশমিক মান ৯ এর চেয়ে বড় হয়ে যায় তাহলে প্রতি মানের সমকক্ষ অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে এভাবে- ১০=A, ১১=B, ১২=C, ১৩=D, ১৪=E, ১৫=F

ভগ্নাংশের ক্ষেত্রেঃ

  1. বাইনারি সংখ্যার বাম পাশ থেকে অর্থাৎ '.' এর পর থেকে প্রতি তিন বিটের গ্রুপ নিয়ে এর দশমিক মান বের করতে হবে।

  2. যদি তিন বিটের গ্রুপ করতে ১ বা দুই বিট কম পরে সেক্ষেত্রে সর্ব ডানে ১ বা ২ বিট ০ দ্বারা পূর্ণ করে নিতে হবে।

  3. যদি ৪ বিটের গ্রুপের দশমিক মান ৯ এর চেয়ে বড় হয়ে যায় তাহলে প্রতি মানের সমকক্ষ অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে এভাবে- ১০=A, ১১=B, ১২=C, ১৩=D, ১৪=E, ১৫=F

অতএব, (১১১১০১১১১০০.১১১১০১১১০১) = (৭BC. F৭৪)১৬

বাইনারি থেকে হেক্সাডেসিমেলে রুপান্তরঃ

হেক্সাডেসিমেল থেকে বাইনারি রূপান্তর করতে উপরের উদাহরণ কে উল্টো ভাবে ধরলেই বুঝতে পারবে। অর্থাৎ হেক্সাডেসিমেল এর প্রতিটি অংককে ৪ বিট বাইনারি দ্বারা প্রকাশ করতে হবে। আর অক্ষর থাকলে নম্বর দ্বারা পরিবর্তন করে নিতে হবে।

বাইনারি ও অক্টাল সংখ্যার মধ্যে পারস্পরিক রূপান্তর

বাইনারি থেকে অক্টালে রুপান্তরঃ

বাইনারি থেকে অক্টালে রুপান্তরের ক্ষেত্রে বাইনারির তিন বিটের গ্রুপ অক্টালের একটি অংক হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হল -

পূর্ণাংশের ক্ষেত্রেঃ

  1. বাইনারি সংখ্যার ডান পাশ থেকে প্রতি তিন বিটের গ্রুপ নিয়ে এর দশমিক মান বের করতে হবে।
  2. যদি তিন বিটের গ্রুপ করতে ১ বা দুই বিট কম পরে সেক্ষেত্রে সর্ব বামে ১ বা ২ বিট ০ দ্বারা পূর্ণ করে নিতে হবে।

ভগ্নাংশের ক্ষেত্রেঃ

  1. বাইনারি সংখ্যার বাম পাশ থেকে অর্থাৎ '.' এর পর থেকে প্রতি তিন বিটের গ্রুপ নিয়ে এর দশমিক মান বের করতে হবে।
  2. যদি তিন বিটের গ্রুপ করতে ১ বা দুই বিট কম পরে সেক্ষেত্রে সর্ব ডানে ১ বা ২ বিট ০ দ্বারা পূর্ণ করে নিতে হবে।
অতএব, (১১১১০১১.১১১১০১১) = (১৭৩.৭৫৪)

বাইনারি থেকে অক্টালে রুপান্তরঃ

অক্টাল থেকে বাইনারি রূপান্তর করতে উপরের উদাহরণ কে উল্টো ভাবে ধরলেই বুঝতে পারবে। অর্থাৎ অক্টাল এর প্রতিটি অংককে ৩ বিট বাইনারি দ্বারা প্রকাশ করতে হবে।

হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিকে রূপান্তর বা হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর।

হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিকে রূপান্তর করতে হলে সহজ নিয়মটি দেখে নিতে হবে এখানে

হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিকে রূপান্তর

(৯D৩.B৮)১৬ = (২৫১৫.৭১৮৭৫)১০

সমাধানঃ

খুব শীঘ্রই আসছে .......

অক্টাল থেকে দশমিকে রূপান্তর বা অক্টাল সংখ্যা থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর।

অক্টাল থেকে দশমিকে রূপান্তর করতে হলে সহজ নিয়মটি আগে দেখে নিতে হবেএখানে এখানে

অক্টাল থেকে দশমিকে রূপান্তর

(৪৭২৩.৫৬০) = (?)১০

সমাধানঃ

খুব শীঘ্রই আসছে .......

বাইনারি থেকে দশমিকে রূপান্তর বা বাইনারি সংখ্যা থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর।

বাইনারি থেকে দশমিকে রূপান্তর করতে প্রথমে সহজ নিয়মটি দেখে নিতে হবে এখানে

বাইনারি থেকে দশমিকে রূপান্তর

(১০০১১১০১০০১১.১০১১১) = (?)১০

সমাধানঃ

খুব শীঘ্রই আসছে .......

যে কোন সংখ্যা পদ্ধতি থেকে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে রুপান্তরের সহজ নিয়ম

যে কোন সংখ্যা পদ্ধতি থেকে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে রুপান্তরের সহজ নিয়ম-

যে কোন সংখ্যা পদ্ধতি থেকে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে রুপান্তরের সময় একটা বিষয় অবশই জানতে হবে আর তা হল, উভয় সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা বেজ।

তবে দশমিকে রুপান্তরের জন্য দশমিক পদ্ধতির বেজ প্রয়োজন নেই। যে সংখ্যা পদ্ধতি থেকে দশমিকে পরিবর্তন হবে সেই পদ্ধতির বেজ জানতেই হবে। না হলে রুপান্তর সম্ভব নয়। যেমন – বাইনারি থেকে দশমিকে পরিবর্তন করতে হলে বাইনারির বেজ জানতে হবে।

এর পর জানতে হবে কীভাবে স্থানীয় মান নির্ণয় করতে হয়।

আর স্থানীয় মান নির্ণয় করতে হলে কিন্তু অবশ্যই বেজ জানতে হবে। অর্থাৎ যে সংখ্যা পদ্ধতির স্থানীয় মান বের করতে হবে তার বেজ জানতে হবে।

স্থানীয় মান বের করার নিয়ম নিম্নরুপঃ

ধরি একটা সংখ্যা ১২০ এবং এটা একটি দশমিক পূর্ণ সংখ্যা। এই সংখ্যার প্রতিটি অংকের স্থানীয় মান বের করতে হলে। দুইটি বিষয় জানতে হবে।

  1. সংখ্যাটির বেজ কত? উপররের সংখ্যার বেজ ১০ আমরা জানি।

  2. সংখ্যাটিতে কয়টি অংক বা ডিজিট আছে। উপররের সংখ্যায় ৩ টি অংক বা ডিজিট আছে আমরা জানি।

উপরের সংখ্যার তিনটি অংকের প্রত্যেকের স্থানীয় মান কিন্তু এক নয়। যদি সংখ্যাটি পূর্ণ সংখ্যা হয় তবে সবচেয়ে ডানের অংকের স্থানীয় মান সবচেয়ে কম এবং বামের দিকে এর মান বাড়তে থাকে। একে যদি ঘাতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তবে এর ঘাত হবে ০ এবং যত বামে আসবে ঘাতের মান এক করে বারতে থাকবে। অর্থাৎ ঘাত n-১ পর্যন্ত বাড়বে।

এখানে n হল অংক বা ডিজিট সংখ্যা। যে কোন সংখ্যা পদ্ধতির কোন সংখ্যার কোন অংকের স্থানীয় মান হল (বেজ) n-1

পূর্ণাংশের ক্ষেত্রেঃ –

এখানে, (১২০)১০ হল পূর্ণসংখ্যা তাহলে স্থানীয় মান অনুসারে লিখলে নিম্নরূপ হবে -

১x১০ + ২x১০ + ০x১০

প্রমাণ করে দেখি-

১x১০ + ২x১০ + ০x১০

= ১x১০০ + ২x১০ +০x১ [ যে কোন অংক বা সংখ্যার ঘাত যদি ০ হয় তাহলে তার মান ১ ]

= ১০০ + ২০ + ০

= ১২০

উদাহরণঃ

বাইনারি থেকে দশমিক (১০১)২ = (?)১০ [ নিয়মটি অক্টাল ও হেক্সডেসিমেল এর জন্যও প্রযোজ্য ]

১x২ + ০x২ + ১x২

=৪ + ০ + ১

= ৫

(১০১) = (৫)১০

এই নিয়মে যে কোন সংখ্যা পদ্ধতি থেকে দশমিকে রুপান্তর করা যায়।

ভগ্নাংশের ক্ষেত্রেঃ -

যদি সংখ্যাটি ভগ্নাংশ হয় সেক্ষেত্রে ঘাতের মান ঋণাত্মক হবে। সর্ব বামের অংকের বেজের ঘাত হবে -১ এবং ডানদিকে প্রতি ডিজিটের জন্য ঋণাত্মক মান -১ করে বাড়বে। অর্থাৎ ঘাত -n পর্যন্ত বাড়বে।

এখানে n হল অংক বা ডিজিট সংখ্যা। যে কোন সংখ্যা পদ্ধতির কোন ভগ্নাংশ সংখ্যার কোন অংকের স্থানীয় মান হল (বেজ) -n

এবার (.৭৫)১০ কে স্থানীয় মান অনুসারে লিখি।

এখানে (.৭৫)১০ হল ভগ্নাংশ তাহলে স্থানীয় মান অনুশারে লিখলে নিম্নরূপ হবে -

৭x১০-১ + ৫x১০-২

প্রমাণ করে দেখি-

৭x১০-১ + ৫x১০-২

= ৭x১/১০ + ৫x১/১০০

= ৭/১০ + ৫/১০০

= (৭০ + ৫)/১০০

=৭৫/১০০

=.৭৫

উদাহরণঃ

বাইনারি থেকে দশমিক (.১০১) = (?)১০ [ নিয়মটি অক্টাল ও হেক্সডেসিমেল এর জন্যও প্রযোজ্য ]

=১x২-১ + ০x২-২ + ১x২-৩

= ১x(১/২) + ০+ ১x(১/৮)

= .৫ + ০ + .১২৫

=.৬২৫

(.১০১) = (.৬২৫ )১০

নিয়ম শেখা হয়ে গেলো এবার বাইনারি, অক্টাল এবং হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিকে পরিবর্তন করব।

বাইনারি থেকে দশমিকে রূপান্তর।

অক্টাল থেকে দশমিকে রূপান্তর।

হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিকে রূপান্তর

বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

সি প্রোগ্রামিং-এর মৌলিক কাঠামো, ডেটা টাইপ ও ভেরিয়েবলের উপর সহজ আলোচনা।


সি প্রোগ্রামিং এর মৌলিক পাঁচটি অংশ থাকে। অংশগুলো হল। যেমন-
  1. প্রি-প্রসেসর কমান্ড | Preprocessor Commands

  2. ফাংশন | Functions

  3. ভেরিয়েবল | Variables

  4. স্টেটমেনট এবং এক্সপ্রেসন | Statements & Expression

  5. কমেন্টস | Comments

মৌলিক কাঠামো:

উপরে বর্ণিত ৫ টি অংশ নিয়েই মূলত সি প্রোগ্রামের মৌলিক কাঠামো গঠিত।

এই কাঠামোর সর্ব উপরে থাকে প্রি-প্রসেসর কমান্ড বা Preprocessor Commands।
প্রি-প্রসেসর কমান্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকে ডকুমেন্টেসন(একে ডকুমেন্টেসন সেকশন বলে)এবং প্রি-প্রসেসর স্টেটমেনট(এটা লিংক সেকশন)।

এর ঠিক নিচে থাকে গ্লোবাল ডিক্লিয়ারেশন সেকশন, এই সেকশনে গ্লোবাল ভেরিয়েবল, ফাংশন প্রোটোটাইপ ডিফাইন করতে হয়।

এর নিচেই থাকে মেইন ফাংশন main(){} মেইন ফাংশন ছাড়া সি প্রোগ্রাম চালু করা যায় না। কারণ সি প্রোগ্রাম সম্পাদন শুরুই করে মেইন ফাংশন থেকে।

তাই main() ফাংশন ছাড়া প্রোগ্রামের কোন .exe ফাইল তৈরি হয় না।

আর একটি কথা সব সময় মনে রাখতে হবে যে প্রোগ্রাম কিন্তু লাইন বাই লাইন সম্পাদন। এজন্য প্রোগ্রামের কন্ট্রোল main() ফাংশনের ভিতর থেকেই হয়। অর্থাৎ ফাংশন কল ছাড়া main()থেকে বের হবার কোন উপায় নেই।

main() ফাংশনের মধ্যে সি প্রোগ্রামের মৌলিক ৫টি অংশের মধ্যে তিনটি বিদ্যমান থাকে। তা হল-

  1. ভেরিয়েবল
  2. স্টেটমেনট এবং এক্সপ্রেসন
  3. কমেন্টস

অবশ্য ফাংশনের মধ্যে যে ভেরিয়েবল থাকে সে গুলো হল লোকাল ভেরিয়েবল, তা শুধু ঐ ফাংশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নিচে ভেরিয়েবল সম্পর্কে আলোচনা করব। স্টেটমেনট এবং এক্সপ্রেসন শুধু যে main() ফাংশনের মধ্যেই ব্যবহৃত হয় তা নয়, অন্য যে কোন ফাংশন যা ইউজার ডিফাইন করে সেখানেও স্টেটমেনট এবং এক্সপ্রেসন ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ফাংশনের বাইরে স্টেটমেনট এবং এক্সপ্রেসন কখনই ব্যবহৃত হয় না।

আর কমেন্টস প্রোগ্রামের যে কোন জায়গাতে লেখা যায়। কারণ কম্পাইলার কমেন্টস কে সব সময় সম্পাদন থেকে বাদ দেয়। সি প্রোগ্রামে কমেন্ট লেখার কারণ হল,যে এই প্রোগ্রাম কি সম্পর্কে লেখা হচ্ছে? প্রোগ্রামে কি সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে? কোন লাইনে কি করা হচ্ছে ? কমেন্টস দেখেই অন্যের অনেক বড় প্রোগ্রাম কে সহজে বুঝা যায়।

এবং শেষে থাকে ইউজার ডিফাইন ফাংশন। অর্থাৎ প্রোগ্রামার নিজে যে ফাংশন তৈরি করে সেটাই ইউজার ডিফাইন ফাংশন। এই ফাংশনকে অবশ্যই main() থেকে কল করতে হবে। তা না হলে এই ফাংশনের কোন সম্পাদিত মান গ্রহণ হবে না।

মৌলিক কাঠামো আলোচনা করতে গিয়ে অনেক নতুন বিষয় চলে আসছে যা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোকপাত করব।

এখন মৌলিক কাঠামো কে এক সাথে লিখলে আর একটু বুঝতে সহজ হবে।

  1. ডকুমেন্টেসন (ডকুমেন্টেসন সেকশন)
  2. প্রি-প্রসেসর স্টেটমেনট(লিংক সেকশন)
  3. গ্লোবাল ডিক্লিয়ারেশন(ডেফিনেশন সেকশন)
  4. main() ফাংশন
    1. লোকাল ভেরিয়েবল
    2. স্টেটমেনট এবং এক্সপ্রেস
  5. ইউজার ডিফাইন ফাংশন

নিচের সি প্রোগ্রামটা দেখলে আরো সহজ হয়ে যাবে।

       
/* documentation section
  author: mahmudul islam
  code: calculate are of a circle
*/
/* start preprocessor statement */
#include 
/* end preprocessor statement */
/* start global declaration */
#define pi 3.1416
float pai = 3.1416;
float circle(int r);// user define function prototype
/* end global declaration */
#define pi 3.1416

int main() // main function
{
    int redius1=5, redius2=5; // local variable redius1, redius2
    float result1, result2; // local variable result1, result2

    result1=pi*redius1*redius1; // expression
    printf("result1= %f\n",result1);//statement

    result2 = circle(redius2);//statement
    printf("result2= %f\n",result2);//statement

    return 0;
}
float circle(int r){ // user define function
    return pai*r*r; // return expression value
}


       
 

ডেটা টাইপ:

একটা ভেরিয়েবল কি ধরনের ডাটা রাখতে পারবে, তা ডেটা টাইপ নির্দিষ্ট করে দেয়। প্রোগ্রামিং এ আমরা মূলত ডাটা নিয়েই কাজ করে থাকি, এজন্য ডেটা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে দক্ষ প্রোগ্রামার হওয়া সম্ভব নয়। একাটা প্রোগ্রাম করার সময় প্রথমেই চিন্তা করতে হবে কি কি টাইপ এর ডেটা প্রোগ্রামে ব্যবহার হতে যাচ্ছে।

ইচ্ছে মত যে কোন টাইপের ডেটা ব্যবহার করা যায় না। প্রতিটি প্রোগ্রামিং ভাষা এই ডেটা টাইপ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তাই অনুরুপ ভাবে সি প্রোগ্রামিং ভাষারও নির্দিষ্ট কিছু ডেটা টাইপ আছে যেমনঃ-

TypesData Types
Basic Data Typeint, char, float, double
Derived Data Typearray, pointer, structure, union
Enumeration Data Typeenum
Void Data Typevoid

এখানে মূলত মৌলিক ডেটা টাইপ (Basic Data Type) ও ভইড ডেটা টাইপ (Void Data Type) নিয়ে আলোচনা করব।

Basic বা মৌলিক ডেটা টাইপঃ

  1. Integer বা পূর্ণ সংখ্যাঃ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল int যা সি প্রোগ্রামিং এ key word হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রোগ্রাম লেখার সময় অবশ্যই int ব্যবহার করতে হবে, বড় হাতের অক্ষর লেখা চলবে না। এই ডেটা টাইপ এর মানের রেঞ্জ হল −32,768 to 32,767 এবং memory size হল ২ বাইট।

  2. Character বা অক্ষর: এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল char যা সি প্রোগ্রামিং এ key word হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রোগ্রাম লেখার সময় অবশ্যই char ব্যবহার করতে হবে, বড় হাতের অক্ষর লেখা চলবে না। এই ডেটা টাইপ এর মানের রেঞ্জ হল −128 to 127 এবং memory size হল ১ বাইট।

  3. Float : এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল float যা সি প্রোগ্রামিং এ key word হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রোগ্রাম লেখার সময় অবশ্যই float ব্যবহার করতে হবে, বড় হাতের অক্ষর লেখা চলবে না। এই ডেটা টাইপ এর memory size হল ৪ বাইট। একে Real floating-point type বা সাধারণত single-precision floating-point type বলা হয়।

  4. Double: এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল double যা সি প্রোগ্রামিং এ key word হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রোগ্রাম লেখার সময় অবশ্যই double ব্যবহার করতে হবে, বড় হাতের অক্ষর লেখা চলবে না। এই ডেটা টাইপ এর memory size হল ৮ বাইট। একে Real floating-point type বা সাধারণত double-precision floating-point type বলা হয়।

Void বা ভইড ডেটা টাইপঃ

এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল void যা সি প্রোগ্রামিং এ key word হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রোগ্রাম লেখার সময় অবশ্যই void ব্যবহার করতে হবে, বড় হাতের অক্ষর লেখা চলবে না। void টাইপ শুধু মাত্র ফাংশনের আগে এবং ফাংশনের আর্গুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ যে ফাংশন কোন মান রিটার্ন করে না তার টাইপ হিসেবে এবং যে ফাংশন এর কোন আর্গুমেন্ট নাই তার মাঝে ব্যবহৃত হয়।

এখানে শুধু মৌলিক কিছু আলোচনা কর হল এই বিষয় গুলো জানার পরে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী বিস্তারিত জানতে পারবে। এর জন্য অনেক ক্ষেত্র আছে। আমি শুধু এখানে খুব সহজে কি ভাবে সি প্রোগ্রামিং শুরু করা যায় ততটুকু আলোচনা করছি।

ভেরিয়েবল:

মেমোরি লোকেশনের নামই হল ভেরিয়েবল। এতে ডেটা বা মান store বা জমা করে রাখা যায়। প্রোগ্রামিং এ সরাসরি কোন মান নিয়ে কাজ করা যায় না। এ ছাড়াও অনেক সময় মান গুলোকে জমা রাখতে হয়। এখন প্রশ্ন হল মান জমা রাখতে হবে কিন্তু কীভাবে? কোথায় জমা রাখবে?

প্রত্যাহিক জিবনে আমরা যেমন বই এর সেলফে বই রাখি, প্রতিটি বই এর কিন্তু আলাদা একটা লোকেশন থাকে তার জন্য চাইলেই যে কোন বই খুঁজে বের করা কঠিন কিছু নয়। ঠিক তেমনি আমরা মেমরিতে যে সকল ডেটা বা মান জমা রাখি তারও একটা লোকেশন থাকে। কিন্তু এই লোকেশন সরাসরি পাওয়া যায় না। একটা ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করলে ঐ ভেরিয়াবলের জন্য মেমরিতে একটা লোকেশন তৈরি হয়। এরপর ঐ ভেরিয়েবলের সাহায্যে মেমরির ঐ লোকেশনে ডেটা রাখা যায়। আবার প্রয়োজনে ডেটা উত্তোলন করা যায়।

ভেরিয়েবল অনেকটা কুলির মত কাজ করে। কুলির কাজ যেমন বোঝা গুলোকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া বা নিয়ে আসা, তেমন ভেরিয়েবল এর কাজও ডেটা নিয়ে রাখা এবং নিয়ে আসা।

এখন মূল বিষয়ে আসি, সি প্রোগ্রামে ভেরিয়েবল কিভাবে ডিক্লেয়ার করা হয়? নিয়ম কি? কি প্রকারের ভেরিয়েবল আছে সে সম্পর্কে এখন একটু আলোচনা করা যাক।

প্রথমে ভেরিয়েবল কিভাবে ডিক্লেয়ার করা হয় তা আলোচনা করি। সি প্রোগ্রামিং-এ ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করা সব চেয়ে সহজ একটা কাজ। তবে প্রথমে জানতে হবে প্রোগ্রামে কোন টাইপ এর ডেটা প্রয়োজন।

ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার এর সিনট্যাক্স হল-

ডেটা টাইপ ভেরিয়েবলর নাম;

data_type variable_name;

উদাহরণঃ

  • int a;

  • float b;

  • char c;

  • double d;

উপরের int, float, char, double হলো ডেটা টাইপ এবং a, b, c, d হল ভেরিয়েবলের নাম।

তবে ভেরিয়েবল যে কোন নামে ডিক্লেয়ার করা যায় না। এর কিছু নিয়ম আছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল –

ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করার নিয়ম

  1. ভেরিয়েবলের নাম alphabets, digits, and underscore হতে পারবে। যেমন- int a; int a_; int num1; ইত্যাদি।

  2. ভেরিয়েবলের নাম শুধু মাত্র alphabet and underscore দ্বারা শুরু হতে পারবে কিন্তু ডিজিট দ্বারা শুরু হতে পারবে না। যেমন – int a,_b; কিন্তু int 9a; ব্যবহার করা যায় না। কারণ ৯ দ্বারা শুরু হয়েছে।

  3. ভেরিয়েবলের নামে কোন whitespace গ্রহণ যোগ্য নয়। যেমন- first name এখানে whitespac ব্যবহার করা হয়েছে । যা ভুল। ঠিক টা হল firat_name বা firstname ;

  4. ভেরিয়েবলের নাম হিসেবে কোন reserved word or keyword ব্যবহার করা যাবে না। যেমন- int, float ইত্যাদি। সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এরকম ৩২ টি keyword আছে।

ইন্ডেক্সিংয়ের অসুবিধাসমূহ লিখ।

ইন্ডেক্সিংয়ের অসুবিধাসমূহ নিম্নরূপ:-

  1. ইনডেক্সিং ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি সম্পাদন করতে টেবিলে একটি অনন্য মান সহ একটি প্রাথমিক কী প্রয়োজন হয়।

  2. ইনডেক্স বা সূচকযুক্ত ডেটাতে অন্য কোনও ইনডেক্স বা সূচি সম্পাদন করা যায়না।

  3. সূচী-সংগঠিত টেবিল বিভাজন করার অনুমতি নেই।

  4. এসকিউএল সূচীকরণ INSERT, DELETE, এবং UPDATE ক্যোয়ারিতে কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।

  5. অধিক মেমরির প্রয়োজন হয়।

  6. ডেটা এন্ট্রিতে বেশি সময় প্রয়োজন হয়।

ইন্ডেক্সিংয়ের সুবিধাসমুহ লিখ।

ইন্ডেক্সিংয়ের সুবিধাসমুহ নিম্নরূপ:-

  1. সহজে ডেটা খোঁজাঃ ইনডেক্স করার ফলে সহজে ডেটা খুঁজে বের করা যায়।

  2. স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হওয়াঃ ইনডেক্স করার পর টেবিলে নতুন রেকর্ড প্রবেশ করালেও ইনডেক্স ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যায়।

  3. কর্মক্ষমতা উন্নত করেঃ সকল ফাইল খোঁজার প্রয়োজন হয় না।

  4. দ্রুত অনুসন্ধান করাঃ ব্যবহারকারীদের কাছে ডেটা দ্রুত অনুসন্ধান এবং পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে ।

  5. মূল ফাইল অপরিবর্তিত রাখাঃ ইনডেক্স ফাইল মূল ডেটাবেজ ফাইলের কোন পরিবর্তন না করে বিভিন্নভাবে সাজাতে পারে।

  6. বিভিন্ন অপারেশনের দক্ষতা বৃদ্ধিঃ ডেটা টেবিলের রেকর্ডসমূহের উপর বিভিন্ন অপারেশন যেমন- searching, sorting এবং queries ইত্যাদি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ইনডেক্স করা হয়।

  7. ইন্ডেক্সিং বা সূচীকরণ টেবিলস্পেস হ্রাস করতে সহায়তা করে।

ডেটাবেজ ইনডেক্সিং বা সাজানো বলতে কি বুঝায়?

ইনডেক্সিং

ইনডেক্সিং হল এমন একটি ডাটা স্ট্রাকচার প্রযুক্তি যা কিছু বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ডাটাবেস ফাইলগুলি থেকে দক্ষতার সাথে ইনডেক্স সম্পন্ন রেকর্ডগুলি পুনরুদ্ধার করতে পারে । ইনডেক্স হল একটি ছোট টেবিল যা কেবল দুটি কলাম থাকে । ইনডেক্স টেবিলের প্রথম কলাম প্রাইমারি কি অথবা ক্যান্ডিডেট কি দ্বারা গঠিত হয়। আর দ্বিতীয় কলাম হল পয়েন্টার গুলোর একটি সেট যা ডিস্ক ব্লক অ্যাড্রেস ধারণ করে যেখানে নির্দিষ্ট কি মান জমা থাকে।

সহজ ভাবে বলতে গেলে ইন্ডেক্সিং হল ডেটা টেবিলের রেকর্ডগুলোকে কোন নির্ধারিত এক বা একাধিক ফিল্ড অনুসারে সাজানোর উদ্দেশ্যে মূল টেবিল অপরিবর্তিত রেখে রেকর্ডগুলোর অ্যাড্রেসকে সাজানো।

রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা RDBMS এর ব্যবহার বিস্তারিত লিখ। অথবা রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর ব্যবহার বর্ণনা কর।

রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কিছু সুনির্দিষ্ট ব্যবহারের ক্ষেত্র নিম্নে উল্লেখ করা হল:-

  1. সামরিক ক্ষেত্রে তথ্য সংরক্ষণের জন্য।

  2. কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণার তথ্য সংরক্ষণের জন্য।

  3. হাসপাতালে রোগীদের রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য।

  4. রেলওয়েতে টিকিটিং ও রেলগাড়ির সিডিউলিং এর ক্ষেত্রে।

  5. বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রেকর্ড সংরক্ষণের জন্যে।

  6. ইলেক্ট্রনিক কমার্স ও ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমে।

  7. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্টদের ইনফর্মেশন সিস্টেম তৈরিতে।

  8. জনসংখ্যা তথ্য সংরক্ষণ করে।

  9. কোন প্রতিষ্ঠানের ইনভেনটোরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি।

  10. ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করাসহ অন্যান্য ক্ষেত্র যেখানে অসংখ্য ডেটা নিয়ে কাজ করতে হয়।

  11. ব্যাংক ও বীমায় গ্রাহকদের হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে।

  12. এয়ার লাইন্সে টিকিটিং ও ফ্লাইটের সিডিউলিং এর ক্ষেত্রে।

রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা RDBMS-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।

রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হল-

  1. সহজে টেবিল তৈরি করে ডেটা এন্ট্রি করা যায়।

  2. সহজে এক ডাটাবেজ থেকে অন্য ডেটাবেজের সাথে তথ্য আদান প্রদান করা যায়।

  3. অসংখ্য ডেটার মধ্য হতে প্রয়োজনীয় ডেটাকে খুঁজে বের করা যায়।

  4. ডেটা ভ্যালিডেশনের সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

  5. সহজে নানা ফরম্যাটের রিপোর্ট ও লেবেল তৈরি ও তা মুদ্রণ বা প্রিন্ট করা যায়।

  6. সহজে অন্য প্রোগ্রাম থেকে ডাটা এনে ব্যবহার করা যায়।

  7. সহজে অ্যাপ্লিকেশান সফত্বারে/ প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।

রিলেশনাল ডাটাবেসের বৈশিষ্ট্য সমূহ বর্ণনা কর।

রিলেশনাল ডাটাবেসগুলি দক্ষ সিস্টেম, যা তাদের আর্থিক রেকর্ড, লজিস্টিকাল তথ্য, কর্মীদের ডেটা এবং নতুন ডাটাবেসে অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণের জন্য সাধারণ পছন্দ করে তোলে। কারণ এগুলি নোএসকিউএল ডাটাবেসগুলির চেয়ে বোঝা এবং ব্যবহার করা সহজ।

রিলেশনাল ডাটাবেসের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য আছে:

  1. মানগুলি অতিক্ষুদ্র।

  2. কলামের সমস্ত মানগুলির মধ্যে একই রকমের ডেটা টাইপ থাকে।

  3. প্রতিটি সারিই একক।

  4. কলামগুলির ক্রমটি নগণ্য বা অর্থহীন।

  5. সারিগুলির ক্রমটি নগণ্য বা অর্থহীন।

  6. প্রতিটি কলামের একটি অনন্য নাম রয়েছে।

  7. অখণ্ডতার সীমাবদ্ধতা একাধিক সারণী জুড়ে ডেটার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রাথমিক কাজ গুলো বর্ণনা কর।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রাথমিক কাজ গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হল–

  1. প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটাবেজ তৈরি করা।

  2. ডেটাবেজে নতুন ডেটা/ রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা।

  3. প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটার হালনাগাদ করা।

  4. অপ্রয়োজনীয় ডেটা/ রেকর্ড মুছে দেয়া।

  5. প্রয়োজনীয় রেকর্ড অনুসন্ধান করা বা ব্যবহার করা।

  6. ডেটার নিরাপত্তা বিধান করা।

  7. ডেটা সংরক্ষণ করা।

  8. ব্যবহারকারী নিবন্ধকরণ।

  9. ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করা।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি? সংক্ষেপে লিখ।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এমন একটি সফ্টওয়্যার যা ডেটাবেস পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়।

ডিবিএমএস বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের জন্য একটি ইন্টারফেস সরবরাহ করে যেমন ডেটাবেস তৈরি, এটিতে ডেটা সংরক্ষণ, ডেটা আপডেট করা, ডাটাবেসে একটি টেবিল তৈরি করা এবং আরও অনেক কিছু।

এটি ডাটাবেসের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সরবরাহ করে। একাধিক ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এটি ডেটা সংগতি বজায় রাখে।

উদাহরণ: মাইএসকিউএল, ওরাকল, মাইক্রোসফ্ট অ্যাক্সেস, মঙ্গডিবি ইত্যাদি।

ইউনিকোড কি?

ইউনিকোড:

ইউনিকোড হল একটি সর্বজনীন আন্তর্জাতিক মানের ক্যারেক্টার এনকোডিং যা বিশ্বের বেশিরভাগ লিখিত ভাষার প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম। এটা মুলত ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড। এই কোডের মাধ্যমে ৬৫,৫৩৬ বা ২^১৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। এই ইউনিকোডকে উন্নত করার জন্য Unicode Consortium কাজ করে যাচ্ছে।

অক্টাল কোড কি?

অক্টাল কোড:

অক্টাল সংখ্যার প্রতিটি অংককে বাইনারি সংখ্যার তিন বিটের গ্রুপ দ্বারা সমতুল্য বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশ করাকে অক্টাল কোড বলে।

অক্টাল পদ্ধতির সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশের জন্য এই কোড ব্যবহৃত হয়। যেহেতু অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৭ মোট ৮ টি অংকের প্রতিটিকে নির্দেশের জন্য ৩ টি বাইনারি অংক প্রয়োজন। সুতরাং ৩ টি বিট দ্বারা ২^৩ অর্থাৎ ৮ টি ভিন্ন অবস্থা নির্দেশ করে।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WAN কি? WAN সম্পর্কে বিস্তারিত লেখ।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এমন একটি নেটওয়ার্ক যা বৃহত ভৌগলিক অঞ্চল যেমন রাজ্য বা দেশগুলিতে বিস্তৃত। ল্যানের চেয়ে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বেশ বড় নেটওয়ার্ক।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক কেবল একটি জায়গাতেই সীমাবদ্ধ নয়, তবে এটি টেলিফোন লাইন, ফাইবার অপটিক কেবল বা স্যাটেলাইট লিঙ্কের মাধ্যমে একটি বিশাল ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে থাকে।

ইন্টারনেট বিশ্বের একটি বৃহত্তম WAN।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবসায়, সরকার এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

WAN এর দুটি প্রকার রয়েছে: সুইচড WAN এবং পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট WAN.

WAN ডিজাইন করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি?

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হল ডিভাইস সমুহের একটি সেট যা একটি লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। একটি নোড যেটা হতে পারে একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার বা ডেটা প্রেরণ বা গ্রহণ করতে সক্ষম অন্য কোনও ডিভাইস। যে লিঙ্কগুলি নোডগুলিকে সংযুক্ত করে তা যোগাযোগ চ্যানেল হিসাবে পরিচিত।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রকারঃ

একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে তাদের আকার দ্বারা শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রধানত চার ধরণের হয়:

  1. LAN বা ল্যান (স্থানীয় অঞ্চল নেটওয়ার্ক)

  2. PAN বা প্যান (ব্যক্তিগত অঞ্চল নেটওয়ার্ক)

  3. MAN বা মান (মহানগর অঞ্চল নেটওয়ার্ক)

  4. WAN বা ওয়ান (ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক)

মডেম কি? মডেমের ব্যবহার বর্ণনা কর। অথবা ডেটা ট্রান্সমিশন প্রক্রিয়ায় মডেম কীভাবে ব্যবহৃত হয় তা বর্ণনা কর। অথবা মডেমের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান পদ্ধতি বর্ণনা কর।


মডেম:

মডেম একটি হার্ডওয়্যার ডিভাইস যা বিদ্যমান টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে কম্পিউটারকে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে দেয়। এটি মডিউলেটার / ডিমোডুলেটরকে বোঝায়। এটি টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল ডেটাটিকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করে।

গতি এবং সংক্রমণ হারের পার্থক্যের ভিত্তিতে একটি মডেমকে নিম্নলিখিত বিভাগগুলিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে:-

  1. স্ট্যান্ডার্ড পিসি মডেম বা ডায়াল-আপ মডেম

  2. সেলুলার মডেম

  3. তারের মডেম

মডেমের ব্যবহারঃ

কম্পিউটারে প্রদত্ত ডেটা ও তথ্য মুলত ডিজিটাল সংকেত। আর ডেটা কমিউনিকেশনের জন্য ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করা প্রয়োজন। মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে পরিণত করে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা গ্রাহকের নিকট প্রেরণ করে। অন্যদিকে গ্রাহক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম সেই অ্যানালগ সংকেতকে আবার ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করে টা কম্পিউটারের ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। প্রেরক ও প্রাপক উভয় প্রান্তে মডেম ব্যবহার করা হয়।

গঠন চিত্রঃ

খুব শীঘ্রই আসছে .......

প্রথম অংশে- কম্পিউটারের ডিজিটাল সংকেত কে মডেম ইনপুট হিসেবে নিয়ে মডুলেটরের মাধ্যমে রুপান্তর করে অ্যানালগ সংকেতে পরিণত করে অ্যানালগ আউটপুট দেয়।

দ্বিতীয় অংশে- অ্যানালগ সংকেতকে ডিমডুলেটরের সাহায্যে ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করে কম্পিউটারে ডিজিটাল আউটপুট দেয়।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ।


ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সুবিধাসমূহ নিম্নরূপ-

  1. আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তরিত হয় এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতি সম্পন্ন।

  2. উচ্চ ব্যান্ডউইথ সম্পন্ন।

  3. এর মাধ্যমে অনেক দূরে ডাটা স্থানান্তরিত করা যায়।

  4. শক্তি ক্ষয় করে কম।

  5. অপটিক ক্যাবলে ডাটা স্থানান্তরে বিশ্বাসযোগ্যতা ও গোপনীয়তা বজায় থাকে।

  6. পাতলা এবং শক্ত।

  7. বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের অসুবিধাসমূহ নিম্নরূপ-

  1. ফাইবার অপটিক ক্যাবলকে U আকরে বাঁকানো যায় না তাই যেখানে অধিক বাঁকানোর প্রয়োজন হয় না সেখানেই অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা সম্ভব।

  2. এই অত্যন্ত ব্যবহুল।

  3. ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল প্রয়োজন হয়।

ফাইবার অপটিক ক্যাবল কি? ফাইবার অপটিক ক্যাবলের গঠন ও প্রকারভেদ বর্ণনা কর।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলঃ

ফাইবার অপটিক ক্যাবল এমন একটি ক্যাবল যা যোগাযোগের জন্য বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে।এটি প্লাস্টিকের প্রলেপযুক্ত অপটিকাল ফাইবারকে ধারণ করে যা আলোর ডাল দ্বারা ডেটা প্রেরণে ব্যবহৃত হয়। ফাইবার অপটিক্স তামার তারের চেয়ে দ্রুত ডেটা স্থান্নান্তর করতে পারে।

অংশসমুহঃ

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তিনটি অংশ আছে। যেমন-

  1. কোরঃ

    অপটিকাল ফাইবারটি গ্লাস বা প্লাস্টিকের একটি সংকীর্ণ স্ট্র্যান্ড থাকে যা একটি কোর হিসাবে পরিচিত। একটি কোর ফাইবারের একটি হালকা সংক্রমণ অঞ্চল। মূলটির ক্ষেত্র যত বেশি হবে তত বেশি আলো ফাইবারে সঞ্চারিত হবে।

  2. ক্ল্যাডিংঃ

    কাচের ঘনক স্তর ক্ল্যাডিং হিসাবে পরিচিত। ক্ল্যাডিংয়ের প্রধান কার্যকারিতা হ'ল মূল ইন্টারফেসে নিম্ন অপসারণের সূচক সরবরাহ করা যাতে কোরের মধ্যে প্রতিবিম্ব দেখা দেয় যাতে আলোর তরঙ্গগুলি ফাইবারের মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়।

  3. জ্যাকেটঃ

    প্লাস্টিকের সমন্বিত প্রতিরক্ষামূলক আবরণ একটি জ্যাকেট হিসাবে পরিচিত। একটি জ্যাকেটের মূল উদ্দেশ্য হ'ল ফাইবার শক্তি সংরক্ষণ করা, শক এবং অতিরিক্ত ফাইবার সুরক্ষা শোষণ করা।

গঠনঃ

এটি ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের আঁশ-যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহণে সক্ষম। বিভিন্ন প্রতিসরাংকের এই ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক দিয়ে ফাইবার অপটিক ক্যাবল গঠিত।

গঠন চিত্রঃ

খুব শীঘ্রই আসছে .......

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কি? টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের গঠন বর্ণনা কর।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলঃ

দুটি পরিবাহী তারকে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল তৈরি করা হয়। পেঁচানো দুটি তার কে পরস্পর থেকে পৃথক রাখার জন্য মাঝে একটি অর্ধপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ক্যাবলে সাধারণত মোট ৪ জোড়া তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতি জোড়া তারের মাঝে একটি সাধারণ বা কমন রংয়ের তার থাকে এবং অপর তার গুলো ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের হয়। এ জোড়ের তারের জন্য ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাপ্তি ০ থেকে ৩.৫ KHz।

গঠন চিত্র:

খুব শীঘ্রই আসছে .......

হাফ–ডুপ্লেক্স এবং ফুল-ডুপ্লেক্স মোডের মধ্যে পার্থক্য কি?


হাফ-ডুপ্লেক্স এবং ফুল-ডুপ্লেক্স মোডের পার্থক্য নিম্নরূপ -

হাফ –ডুপ্লেক্স ফুল-ডুপ্লেক্স
হাফ–ডুপ্লেক্স মোডে যোগাযোগ দ্বিমুখী, তবে একবারে একটি ঘটে। ফুল–ডুপ্লেক্স মোডে যোগাযোগ দ্বিমুখী, তবে একই সাথে দুইটিই ঘটতে পারে।
উভয় ডিভাইসই ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারে তবে একবারে একটি করে। উভয় ডিভাইস একই সাথে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারে।
হাফ-ডুপ্লেক্স মোডের চেয়ে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডের পারফরম্যান্স ভাল। যোগাযোগ-চ্যানেলের সক্ষমতা ব্যবহারের দ্বিগুণ হওয়ার কারণে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডটি হাফ–ডুপ্লেক্স মোডের থেকে আরও ভাল পারফরম্যান্স রয়েছে।
হাফ-ডুপ্লেক্সের উদাহরণ হল ওয়াকি-টকিজ। ফুল-ডুপ্লেক্স মোডের উদাহরণ হল টেলিফোন নেটওয়ার্ক, মোবাইল ফোন।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ? অথবা ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কি? বিভিন্ন প্রকার ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের বর্ণনা দাও। অথবা দিক বৈশিষ্টের ভিত্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোডঃ

ডেটা ট্রান্সমিশনে উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা পাঠানো হয়। উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলে।

ডেটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড তিন ভাগে বিভক্ত।

  1. সিমপ্লেক্স

  2. হাফ-ডুপ্লেক্স

  3. ফুল-ডুপ্লেক্স

নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ-

খুব শীঘ্রই আসছে .......

সিনক্রোনাস ও অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের এর মধ্যে পার্থক্য কি?

সিনক্রোনাস ও অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ -

খুব শীঘ্রই আসছে .......

সিনক্রোনাস ও অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর সুবিধা ও আসুবিধা বর্ণনা কর।

সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের সুবিধা সমূহঃ-

  1. সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি।

  2. অবিরাম ট্রান্সমিশন কাজ চলতে থাকার ফলে এর ট্রান্সমিশন গতি অপেক্ষাকৃত বেশি।

  3. প্রতি ক্যারেক্টারের পর টাইম ইন্টারভেল এর প্রয়োজন হয় না।

  4. ডেটা ট্রান্সমিশন হতে সময় তুলামুলক কম লাগে।

সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের অসুবিধা সমূহঃ

  1. প্রেরকের স্টেশনে প্রেরকের সাথে একটি প্রাথমিক সংরক্ষণ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।

  2. এটি তুলনামুলকভাবে ব্যয়বহুল।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা সমূহঃ-

  1. প্রেরক যে কোন সময় ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে এবং গ্রাহকও তা গ্রহণ করতে পারে।

  2. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।

  3. এটার ইন্সটলেশন ব্যয় অত্যন্ত কম।

  4. অল্প করে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য এই পদ্ধতি বেশি উপযোগী।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধা সমূহঃ-

  1. প্রতিক্রিয়া সময় অনুমান করা যায় না।

  2. ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি অপেক্ষাকৃত কম।

  3. ত্রুটিগুলি সমাধান করা অনেক জটিল।

  4. এ জাতীয় ট্রান্সমিশনের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নকশা করা তুলনামূলক ভাবে কঠিন।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো লিখ।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন:

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এমন একটি সিস্টেম যেখানে প্রেরক স্টেশনে প্রথমে ডেটাকে কোন প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষণ করে ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২ টি ক্যারেক্টার থাকে।

সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের সুবিধা সমূহঃ

  1. সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি।

  2. অবিরাম ট্রান্সমিশন কাজ চলতে থাকার ফলে এর ট্রান্সমিশন গতি অপেক্ষাকৃত বেশি।

  3. প্রতি ক্যারেক্টারের পর টাইম ইন্টারভেল এর প্রয়োজন হয় না।

  4. ডেটা ট্রান্সমিশন হতে সময় তুলামুলক কম লাগে।

সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের অসুবিধা সমূহঃ

  1. প্রেরকের স্টেশনে প্রেরকের সাথে একটি প্রাথমিক সংরক্ষণ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।

  2. এটি তুলনামুলকভাবে ব্যয়বহুল।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি? এর সুবিধা ও আসুবিধা গুলো কি লিখ।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনঃ

যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা প্রেরক হতে গ্রাহকের কাছে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা সমূহঃ-

  1. প্রেরক যে কোন সময় ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে এবং গ্রাহকও তা গ্রহণ করতে পারে।

  2. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।

  3. এটার ইন্সটলেশন ব্যয় অত্যন্ত কম।

  4. অল্প করে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য এই পদ্ধতি বেশি উপযোগী।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধা সমূহঃ-

  1. প্রতিক্রিয়া সময় অনুমান করা যায় না।

  2. ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি অপেক্ষাকৃত কম।

  3. ত্রুটিগুলি সমাধান করা অনেক জটিল।

  4. এ জাতীয় ট্রান্সমিশনের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নকশা করা তুলনামূলক ভাবে কঠিন।

ডাটা ট্রান্সমিশন স্পীড কি? বিভিন্ন প্রকার ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ। অথবা ব্যান্ডউইথ কি? ডেটা কমিউনিকেশন স্পীডকে কত ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?


ব্যান্ডউইথ বা ডাটা ট্রান্সমিশন স্পীডঃ

এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে।

এই ট্রান্সমিশন স্পীড কে অনেক সময় ব্যান্ডউইথ বলা হয়।

আর ব্যান্ডউইথ বিট পার সেকেন্ডে হিসাব করা হয়।

ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন স্পীডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমনঃ-

  1. ন্যারো ব্যান্ড

  2. ভয়েস ব্যান্ড

  3. ব্রড ব্যান্ড

নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

  1. ন্যারো ব্যান্ডঃ ন্যারো ব্যান্ড সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। ধীর গতিতে ডেটা স্থানান্তরের জন্য এই ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।

  2. ভয়েস ব্যান্ডঃ ফ্রিকোয়েন্সিগুলির ব্যাপ্তি সাধারণত মানুষের কাছে শ্রবণযোগ্য। এই ব্যান্ডের ডেটা স্থানান্তর গতি ৯৬০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহার করা হয়।

  3. ব্রড ব্যান্ডঃ ব্রডব্যান্ড হল প্রশস্ত ব্যান্ডউইথ ডেটা ট্রান্সমিশন যা একাধিক সিগন্যাল এবং বিভিন্ন ট্রাফিক পরিবহন করে। এই ব্যান্ড ডেটা স্থানান্তর গতি উচ্চগতি সম্পন্ন যা কমপক্ষে ১Mbps হতে অত্যন্ত উচ্চ গতি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ব্রড ব্যান্ড ডেটা ট্রান্সমিশনে সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা হয়।

ডেটা ট্রান্সমিশন কি? ডেটা ট্রান্সমিশন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ।


ডেটা ট্রান্সমিশন বলতে দুই বা ততোধিক ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া বোঝায়। অ্যানালগ বা ডিজিটাল ফর্ম্যাটে ডেটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয়। মূলত, ডেটা ট্রান্সমিশন ডিভাইসগুলির মধ্যে ডিভাইস বা উপাদানগুলিকে একে অপরের সাথে কথা বলতে সক্ষম করে। ডেটা ট্রান্সমিশনে ডেটা বৈদ্যুতিন চৌম্বকীয় সংকেত যেমন - বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ, রেডিওওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ বা ইনফ্রারেড সংকেত হিসাবে উপস্থাপিত হয়।

ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান বা অংশসমুহ কি কি বর্ণনা কর।


ডেটা কমিউনিকেশনের পাঁচটি উপাদান রয়েছে। যেমন -

  1. উৎস

  2. প্রেরক

  3. কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম

  4. গ্রাহক বা প্রাপক

  5. গন্তব্য

নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল -

  1. উৎসঃ যে ডিভাইস হতে ডাটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে। যেমন - কম্পিউটার, টেলিফোন ইত্যাদি।

  2. প্রেরকঃ উৎস হতে ডেটা নিয়ে প্রেরক যন্ত্র কমিউনিকেশন মাধ্যমে পাঠায়। যেমন - মডেম।

  3. কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যমঃ যার মধ্যদিয়ে ডাটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় তাকে কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম বলে। এই মাধ্যম হিসেবে তার, টেলিফোন লাইন , রেডিওওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, স্যাটেলাইট প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়।

  4. গ্রাহক বা প্রাপকঃ কমিউনিকেশন চ্যানেলে বা মাধ্যমে ডাটা যার কাছে পাঠানো হয় তাকে গ্রাহক বা প্রাপক বলে। যেমন- মডেম।

  5. গন্তব্যঃ সর্বশেষ গন্তব্য হিসেবে সার্ভার, পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যাবহার করা হয়।

চিত্র

ডেটা কমিউনিকেশন কি?


ডেটা কমিউনিকেশন বলতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে ডিজিটাল ডেটা স্থানান্তর বোঝায় এবং একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডেটা নেটওয়ার্ক একটি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা কম্পিউটারগুলিকে ডেটা বিনিময় করতে দেয়। নেটওয়্যার্ক কম্পিউটিং ডিভাইসগুলির মধ্যে ক্যাবল মিডিয়া বা ওয়্যারলেস মিডিয়া ব্যবহার করে ফিজিক্যাল সংযোগ প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

সমাজ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে নিজের অভিমত লিখ। অথবা "তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাজের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ" - উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর।


এই প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থী নিজের অভিমত তুলে ধরবে, আমি এখানে কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করবো যা পরীক্ষার্থীর উত্তর প্রদানে সহায়ক হবে।

  1. জাতীয় প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ হল আইসিটি। এটি মানব জীবনের মানের উন্নতি করতে পারে কারণ এটি একটি শেখার এবং শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রের মতো ব্যবহারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি প্রচার ও প্রচারের গণযোগাযোগ মাধ্যম এটি।

  2. আইসিটি বিশ্বকে একত্রিত করেছে সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলির মাধ্যমে। তাই সমাজ জীবনে এসেছে গতিশীলতা, সমাজের মানুষের মাঝে সম্পর্ক গুলো দৃঢ় হচ্ছে। দূরের আত্মীয় স্বজন দের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এর প্রভাব আশাজনক।

  3. সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লোকেরা বিশ্বজুড়ে পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে কথা বলতে পারে। এটি এমন ব্যক্তিদের সহায়তা করে যাঁরা পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে ভ্রমণ করতে পারে না।

  4. আইসিটি গবেষণামূলক তথ্যকে আরও সহজ করে তুলেছে, যেহেতু ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে তথ্য পাওয়া যায়। যে বাসিন্দাদের কাছে স্থানীয় লাইব্রেরি নেই এটি তাদের শিক্ষণীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করে।

ভিডিও কনফারেন্সিং কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ?


ভিডিও কনফারেন্সিং এমন একটি প্রযুক্তি যা বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যবহারকারীদের একসাথে এক জায়গায় অবস্থান না করেও মুখোমুখি বৈঠক করতে দেয়। এই প্রযুক্তিটি বিভিন্ন শহর, এমনকি বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক। কারণ এটি ব্যবসায় ভ্রমণের সাথে সম্পর্কিত সময়, ব্যয় এবং ঝামেলা সাশ্রয় করে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবহারগুলির মধ্যে রুটিন সভা অনুষ্ঠিত হওয়া, ব্যবসাীদের ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করা এবং চাকরি প্রার্থীদের সাক্ষাত্কারও নেয়া হয়ে থাকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে। ভিডিও কনফারেন্সিং একটি বিশেষ সুবিধা হল এখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরকে দেখতে পারে। বর্তমানে কিছু জন প্রিয় অ্যাপ হল messenger, Skype, hangouts, zoom যা ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়।

টেলিকনফারেনসিং কি? টেলিকনফারেনসিং সম্পর্কে আলোচনা কর।


টেলিকনফারেন্স বা টেলিসেমিনার হ'ল একে অপরের থেকে দূরে কিন্তু একটি টেলিযোগযোগ ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত হয়ে বেশ কয়েকটি ব্যক্তি এবং মেশিনের মধ্যে তথ্যের সরাসরি আদান প্রদান।

বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেনসিং মোড রয়েছে-

  1. ভিডিও টেলিকনফারেনসিংঃ

    টেলিকনফারেন্সের এই মোডটি ভিডিও যোগাযোগ সরবরাহের জন্য ভিডিও এবং অডিওর সংমিশ্রণ।

  2. অডিও টেলিকনফারেনসিংঃ

    অডিও টেলিকনফারেন্সিং শুধুমাত্র ভয়েস কনফারেন্সে বা কখনও কখনও আহ্বান কনফারেন্সে হিসাবে পরিচিত।

  3. অডিও গ্রাফিক্স টেলিকনফারেনসিংঃ

    এখানে ন্যারোব্যান্ড যোগযোগ চ্যানেলগুলি আলফা-সংখ্যাগুলি, গ্রাফিক্স, ডকুমেন্ট বা ভয়েস যোগাযোগের জন্য সংযোজিত ভিডিও চিত্রের মতো ভিজ্যুয়াল তথ্য স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়। একে বর্ধিত অডিও বা ডেস্কটপ কম্পিউটার কনফারেন্সিং হিসাবেও ডাকা হয়।

  4. ওয়েব টেলিকনফারেনসিংঃ

    ওয়েব টেলিকনফারেন্সিং হিসাবে, টেলিফোন লাইন দুই বা ততোধিক মডেম এবং কম্পিউটার সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।

এ ছাড়াও এক্সেস এর উপর ভিত্তি করে কয়েক ধরনের টেলিকনফারেনসিং রয়েছে। যেমন- পাবলিক কনফারেন্স, ক্লোজড কনফারেন্স এবং রিড অনলি কনফারেন্স।

ইলেক্ট্রনিক মেইল বা ই-মেইল কি? ইলেক্ট্রনিক মেইল বা ই-মেইল সম্পর্কে আলোচনা কর।


ইলেক্ট্রনিক মেইল হল এমন একটি পদ্ধতি যা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বার্তা বিনিময় করে। ইলেক্ট্রনিক মেইল সম্পর্কে আলোচনা - প্রচলিত ডাক ব্যবস্থার পরিবর্তে এখন ডিজিটাল ডাক ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আর এই ডিজিটাল ডাক ব্যবস্থার একটি অন্যতম উদাহরন হল ইলেক্ট্রনিক মেইল বা ই-মেইল। এটা বিশ্বব্যাপী ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ ও বৃহৎ নেটওয়ার্ক মাধ্যম। ১৯৭১ সালে প্রথম ইমেলটি প্রেরণ করেছিলেন রে টমলিনসন। ই-মেইল বার্তাটি আরপানেটের (ARPANET) মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছিল। ই-মেইল এর মাদ্ধমে প্রেরিত তথ্যে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়। প্রেরিত তথ্য প্রাপকের অনুপস্থিতিতেই কম্পিউটার টার্মিনালের মাধ্যমে প্রাপকের ডিস্কে জমা থাকে। ই-মেইল এমন একটি ডাক ব্যবস্থা যা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এর সমন্বয়ে গঠিত। এটা নির্ভুলভাবে তথ্য পৌঁছে দিতে সক্ষম। বর্তমানে মোবাইলফোন বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাহায্যে যে কোন জায়গা থেকে ই-মেইল প্রেরণ করা যায় ও গ্রহণ করা যায়।

ইন্টারনেট কি?


ইন্টারনেট হল একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি যা সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এটি বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে সংযুক্ত করতে স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারনেট প্রোটোকল সুইট (টিসিপি / আইপি) ব্যবহার করে। এটি ক্যাবল যেমনঃ- অপটিকাল ফাইবার এবং অন্যান্য ওয়্যারলেস এবং নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তিগুলির দ্বারা সেট আপ করা হয়ে থাকে।

যোগাযোগ প্রযুক্তি কি?


ডাটা এক স্থান বা ডিভাইস থেকে অন্য স্থানে বা ডিভাইসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া হল ডেটা কমিউনিকেশন। আর এই ডাটা কমিউনিকেশন এর জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাই যোগাযোগ প্রযুক্তি। যেমনঃ- মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

তথ্য প্রযুক্তি কি?


তথ্য প্রযুক্তি হল তথ্য পরিচালনা করতে কম্পিউটার এবং সফ্টওয়্যার এর ব্যবহার। তথ্য প্রযুক্তি নিরাপদে তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া, রূপান্তর, সুরক্ষা, প্রেরণ এবং পুনরুদ্ধার করতে বৈদ্যুতিক কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সফ্টওয়্যার নিয়ে কাজ করে।

ডেটা ও ইনফরমেশনের মধ্যে পার্থক্য কি? অথবা তথ্য বা উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য কি?


ডেটা ও ইনফরমেশনের মধ্যে পার্থক্য

ডেটা ইনফরমেশন
ডেটা হ'ল তথ্যের স্বতন্ত্র ছোট ইউনিটের একটি সংগ্রহ। ইনফরমেশন বা তথ্য হল অর্থবোধক ডেটা।
ডেটা হ'ল পাঠ্য এবং সংখ্যাগত মান। ইনফরমেশন বা তথ্য হল আসল তথ্যগুলির পরিশোধিত ফর্ম বা অবস্থা।
ডেটা তথ্যের উপর নির্ভর করে না। ইনফরমেশন বা তথ্য ডেটার উপর নির্ভর করে।
বিট এবং বাইটগুলি ডেটার পরিমাপের একক। ইনফরমেশন বা তথ্য সময়, পরিমাণ ইত্যাদির মতো অর্থবহ একক দ্বারা পরিমাপ করা হয়।
ডেটার কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে না। ইনফরমেশন বা তথ্য একটি অর্থ বহন করে যা ডেটা ব্যাখ্যার দ্বারা নির্ধারিত হয়।
এটি জ্ঞানের নিম্ন স্তর। এটি জ্ঞানের দ্বিতীয় স্তর।

ডেটা ও ইনফরমেশন কি? অথবা তথ্য ও উপাত্ত বলতে কি বুঝায়? অথবা ডেটা ও ইনফরমেশন এর সংজ্ঞা দাও।


আভিধানিক অর্থে ডাটা ইংরেজি শব্দ এর অর্থ উপাত্ত এবং ইনফরমেশনও ইংরেজি শব্দ এর অর্থ হল তথ্য।

পারিভাষিক অর্থে-

ডেটা হ'ল তথ্যের স্বতন্ত্র ছোট ইউনিটের একটি সংগ্রহ। এটি বিভিন্ন ফর্ম বা অবস্থা। যেমন- টেক্সট, সংখ্যা, মিডিয়া, বাইট ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এটি কাগজে বা বৈদ্যুতিক মেমরি ইত্যাদিতে সংরক্ষণ করা যেতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

অন্যদিকে ইনফরমেশন হল অর্থপূর্ণ ডেটার সমষ্টি। যা সুবিন্যাস্ত ভাবে সাজানো নদিকে

ICT বা আইসিটি কি?


ICT এর পূর্ণ রূপ হল Information and Communications Technology। আইসিটি মানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এটি একটি ছাতা শব্দ যা নেটওয়ার্ক ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ এবং নিরীক্ষণ, টেলিযোগাযোগ, অডিওভিউজুয়াল প্রসেসিং এবং ট্রান্সমিশন সিস্টেম, বুদ্ধিমান বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সম্প্রচার মিডিয়া ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ও সংস্থানসমূহ (যোগাযোগ ডিভাইস এবং অ্যাপ্লিকেশন) বোঝায়। এতে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, রোবট ইত্যাদির মতো ডিজিটাল ডেটা সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার এবং পরিচালনা করতে পারে এমন সব পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

রিং টপোলজি সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।


সুবিধা সমূহ নিম্নরূপ -

  1. নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট: ত্রুটিযুক্ত ডিভাইসগুলি নেটওয়ার্কটি ডাউনে না এনেও নেটওয়ার্ক থেকে সরানো যেতে পারে।

  2. পণ্যের উপলভ্যতা: নেটওয়ার্ক অপারেশন এবং পর্যবেক্ষণের জন্য অনেক হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পাওয়া যায়।

  3. ব্যয়: বাঁকা জোড়ের ক্যাবলিং সস্তা এবং সহজেই পাওয়া যায়। অতএব, ইনস্টলেশন খরচ খুব কম।

  4. নির্ভরযোগ্য: এটি আরও নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থাটি একক হোস্ট কম্পিউটারের উপর নির্ভর করে না।

অসুবিধা সমূহ নিম্নরূপ -

  1. সমস্যা সমাধান জটিল: তারের ত্রুটিগুলি নির্ধারণেতি জন্য বিশেষ পরীক্ষার সরঞ্জাম প্রয়োজন হয়। তারে যদি কোনও ত্রুটি দেখা দেয় তবে তা সমস্ত নোডের জন্য যোগাযোগকে ব্যাহত করে।

  2. ব্যর্থতা: একটি স্টেশনের ভাঙ্গন সামগ্রিক নেটওয়ার্কে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।

  3. পুনরায় কনফিগারেশন কঠিন: নেটওয়ার্কে নতুন ডিভাইস যুক্ত করলে নেটওয়ার্ককে ধীর করবে।

  4. বিলম্ব: যোগাযোগের বিলম্ব সরাসরি নোডের সংখ্যার সাথে সমানুপাতিক। নতুন ডিভাইস যুক্ত করলে যোগাযোগের বিলম্বকে আরো বাড়িয়ে তোলে।

স্টার টপোলজি সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।


সুবিধা সমূহ নিম্নরুপ -

  1. দক্ষ সমস্যা সমাধান: সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাস টপোলজির তুলনায়স্টার টপোলজি বেশ দক্ষ।

  2. সমস্ত স্টেশন কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। সুতরাং সমস্যা সমাধানের জন্য নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে একক স্টেশনে যেতে হয়।

  3. সীমাবদ্ধ ব্যর্থতা: প্রতিটি স্টেশন যেহেতু নিজস্ব তারের সাহায্যে কেন্দ্রীয় হাবের সাথে সংযুজ্জ থাকে সুতরাং এক কেবলের ব্যর্থতা পুরো নেটওয়ার্ককে প্রভাবিত করবে না।

  4. সহজেই প্রসারণযোগ্য: হাবের মুক্ত পোর্টে নতুন স্টেশন যুক্ত করা যায় বলে এটি সহজেই প্রসারণযোগ্য।

  5. কার্যকর ব্যয়: স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কগুলির কার্যকর ব্যয় হয় কারণ এটি সস্তা দামের ক্যাবল ব্যবহার করে।

  6. উচ্চ ডেটার গতি: এটি প্রায় 100 এমবিপিএসের ব্যান্ডউইথকে সমর্থন করে।

অসুবিধা সমূহ নিম্নরুপ -

  1. কেন্দ্রীয় ব্যর্থতা বিন্দু: যদি কেন্দ্রীয় হাব বা স্যুইচটি নষ্ট হয়ে যায় তবে সমস্ত সংযুক্ত নোড একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে না।

  2. কেবল: কখনও কখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাউটিংয়ের প্রয়োজন হলে ক্যাবল রাউটিংটি কঠিন হয়ে যায়।

বাস টপোলজি সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।


সুবিধা সমূহ নিম্নরুপ -

  1. কম দামের কেবল: বাস টপোলজিতে নোডগুলি কোনও হাবের মধ্য দিয়ে না গিয়ে সরাসরি তারের সাথে সংযুক্ত থাকে। অতএব, ইনস্টলেশন প্রাথমিক খরচ কম হয়।

  2. মাঝারি তথ্যের গতি: কোক্সিয়াল বা পাকানো জোড়ের ক্যাবলগুলি মূলত বাস-ভিত্তিক নেটওয়ার্কগুলিতে ব্যবহৃত হয় যা 10 এমবিপিএস পর্যন্ত সমর্থন করে।

  3. পরিচিত প্রযুক্তি: বাস টপোলজি একটি পরিচিত প্রযুক্তি কারণ ইনস্টলেশন ও সমস্যা সমাধানের কৌশলগুলি সুপরিচিত এবং হার্ডওয়্যার উপাদানগুলি সহজেই উপলব্ধ।

  4. সীমাবদ্ধ ব্যর্থতা: একটি নোড ব্যর্থ হলে অন্য নোডগুলিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না।

অসুবিধা সমূহ নিম্নরুপ -

  1. বিস্তৃত ক্যাবলিং: বাস টপোলজি বেশ সহজ হলেও এর জন্য প্রচুর ক্যাবলিং লাগবে।

  2. সমস্যা সমাধান অসুবিধাজনক: তারের ত্রুটিগুলি নির্ধারণের জন্য এটির জন্য বিশেষ পরীক্ষার সরঞ্জাম প্রয়োজন। তারে যদি কোনও ত্রুটি দেখা দেয় তবে তা সমস্ত নোডের জন্য যোগাযোগকে ব্যাহত করে।

  3. সংকেত হস্তক্ষেপ: যদি দুটি নোড একযোগে বার্তা পাঠায় তবে উভয় নোডের সংকেত একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয়।

  4. পুনঃ কনফিগারেশন কঠিন: নেটওয়ার্কে নতুন ডিভাইস যুক্ত করা হলে নেটওয়ার্ককে ধীর করবে।

স্টার, বাস, ট্রি নেটওয়ার্ক গঠন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ।


স্টার টপোলজি

স্টার টপোলজিতে সমস্ত ডিভাইস একটি ক্যাবলের মাধ্যমে একটি হাবের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই হাবটি হল কেন্দ্রীয় নোড এবং অন্য সমস্ত নোড এই কেন্দ্রীয় নোডের সাথে সংযুক্ত থাকে।

গঠন চিত্র

খুব শীগ্রই আসছে ..........

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. ক্যাবলে ব্যবহার করে ডিভাইস গুলো কেন্দ্রীয় নোডের (হাব) সাথে যুক্ত থাকে।

  2. সর্বাধিক প্রচলিত কারণ এটি ইনস্টলেশন সহজ।

  3. এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যদি কেন্দ্রীয় নোডের (হাব) নষ্ট হয় তবে পুরো নেটওয়ার্কটি ধ্বংস হয়ে যায়।

  4. এতে RJ-45 এবং কোএক্সিয়াল তারের ব্যবহার হয়।

বাস টপোলজি

বাস টোপোলজি একটি নেটওয়ার্ক টাইপ যেখানে প্রতিটি কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইস একক তারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি একক দিক থেকে অন্য প্রান্তে ডেটা প্রেরণ করে।

গঠন চিত্র

খুব শীগ্রই আসছে ..........

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. সংযুক্ত করার জন্য একটি ক্যাবল ব্যবহার করে যার উভয় প্রান্ত নোডের সাথে যুক্ত থাকে।

  2. সর্বাধিক প্রচলিত কারণ এটি ইনস্টলেশন সহজ।

  3. এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যদি একটি তার ভেঙে যায় বা আলগা হয় তবে পুরো নেটওয়ার্কটি ধ্বংস হয়ে যায়।

  4. এতে কোএক্সিয়াল তারের ব্যবহার হয়।



ট্রি টপোলজি

এই টপোলজি বাস টপোলজি এবং স্টার টপোলজির বৈশিষ্ট্যগুলিকে একত্রিত করে। ট্রি বা বৃক্ষ টপোলজি হ'ল এক ধরণের কাঠামো যেখানে সমস্ত কম্পিউটার একে অপরের সাথে শ্রেণিবদ্ধ গঠনে সংযুক্ত থাকে।

গঠন চিত্র

খুব শীগ্রই আসছে ..........

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য দুটি নোডের মধ্যে কেবল একটি পথ থাকে।

  2. এটি একটি প্যারেন্ট-চাইল্ড ক্রমবিন্যাস গঠন করে।

  3. এটি ইনস্টলেশন করা কঠিন।

স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজির গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ।


স্টার টপোলজি

স্টার টপোলজিতে সমস্ত ডিভাইস একটি ক্যাবলের মাধ্যমে একটি হাবের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই হাবটি হল কেন্দ্রীয় নোড এবং অন্য সমস্ত নোড এই কেন্দ্রীয় নোডের সাথে সংযুক্ত থাকে।

গঠন চিত্র

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. ক্যাবলে ব্যবহার করে ডিভাইস গুলো কেন্দ্রীয় নোডের (হাব) সাথে যুক্ত থাকে।

  2. সর্বাধিক প্রচলিত কারণ এটি ইনস্টলেশন সহজ।

  3. এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যদি কেন্দ্রীয় নোডের (হাব) নষ্ট হয় তবে পুরো নেটওয়ার্কটি ধ্বংস হয়ে যায়।

  4. এতে RJ-45 এবং কোএক্সিয়াল তারের ব্যবহার হয়।

বাস নেটওয়ার্ক টপোলজির গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ।


বাস টপোলজি

বাস টোপোলজি একটি নেটওয়ার্ক টাইপ যেখানে প্রতিটি কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইস একক তারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি একক দিক থেকে অন্য প্রান্তে ডেটা প্রেরণ করে।

গঠন চিত্র

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. সংযুক্ত করার জন্য একটি ক্যাবল ব্যবহার করে যার উভয় প্রান্ত নোডের সাথে যুক্ত থাকে।

  2. সর্বাধিক প্রচলিত কারণ এটি ইনস্টলেশন সহজ।

  3. এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যদি একটি তার ভেঙে যায় বা আলগা হয় তবে পুরো নেটওয়ার্কটি ধ্বংস হয়ে যায়।

  4. এতে কোএক্সিয়াল তারের ব্যবহার হয়।

রিং টপোলজির গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ।


রিং টপোলজি

এই টপোলজি কতগুলো ডিভাইসের সাহায্যে একটি রিং গঠন করে এবং এই রিং এ ঠিক দুটি প্রতিবেশী ডিভাইস পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে।

গঠন চিত্র

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. সংযুক্ত করার জন্য একটি ক্যাবল ব্যবহার করে যার উভয় প্রান্ত নোডের সাথে যুক্ত থাকে।

  2. এটি ইনস্টলেশন তুলনামুলক কঠিন।

  3. এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যদি একটি নোড নষ্ট হয় তবে পুরো নেটওয়ার্কটি ধ্বংস হয়ে যায়।

  4. এতে কোএক্সিয়াল তারের ব্যবহার হয়।

মেশ নেটওয়ার্ক টপোলজির গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ।


মেশ টপোলজি

মেশ টপোলজিতে প্রতিটি ডিভাইস নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকে।

গঠন চিত্রঃ

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে একাধিক পাথ থাকে।

  2. মেশ টপোলজি মূলত WAN বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হয় যেখানে যোগাযোগের ব্যর্থতা একটি উদ্বেগজনক উদ্বেগ।

  3. মেশ টপোলজি মূলত ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়।

  4. এটি ইনস্টলেশন বেশ জটিল।

ট্রি টপোলজির গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ।


ট্রি টপোলজি

এই টপোলজি বাস টপোলজি এবং স্টার টপোলজির বৈশিষ্ট্যগুলিকে একত্রিত করে। ট্রি বা বৃক্ষ টপোলজি হ'ল এক ধরণের কাঠামো যেখানে সমস্ত কম্পিউটার একে অপরের সাথে শ্রেণিবদ্ধ গঠনে সংযুক্ত থাকে।

গঠন চিত্র

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য দুটি নোডের মধ্যে কেবল একটি পথ থাকে।

  2. এটি একটি প্যারেন্ট-চাইল্ড ক্রমবিন্যাস গঠন করে।

  3. এটি ইনস্টলেশন করা কঠিন।

হাইব্রিড নেটওয়ার্ক টপোলজি গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ।


হাইব্রিড টপোলজি

বিভিন্ন টপোলজির সংমিশ্রণই হাইব্রিড টপোলজি হিসাবে পরিচিত। হাইব্রিড টপোলজি হ'ল ডেটা স্থানান্তর করার জন্য বিভিন্ন লিঙ্ক এবং নোডের মধ্যে একটি সংযোগ।

গঠন চিত্র

বৈশিষ্ট্য সমুহ

  1. এটি একটি স্কেলযোগ্য টপোলজি যা সহজেই প্রসারিত হতে পারে।

  2. এটি নির্ভরযোগ্য তবে একই সাথে এটি একটি ব্যয়বহুল টপোলজি।

  3. এটি ইনস্টলেশন করা খুবই কঠিন।

বিভিন্ন প্রকার টপোলজি সংক্ষেপে বর্ণনা কর।


বিভিন্ন প্রকার নেটওয়ার্ক টপোলজি নিম্নে বর্ণনা করা হল -

স্টার টপোলজি

স্টার টপোলজিতে সমস্ত ডিভাইস একটি ক্যাবলের মাধ্যমে একটি হাবের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই হাবটি হল কেন্দ্রীয় নোড এবং অন্য সমস্ত নোড এই কেন্দ্রীয় নোডের সাথে সংযুক্ত থাকে।

বাস টপোলজি

বাস টোপোলজি একটি নেটওয়ার্ক টাইপ যেখানে প্রতিটি কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইস একক তারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি একক দিক থেকে অন্য প্রান্তে ডেটা প্রেরণ করে।

রিং টপোলজি

এই টপোলজি কতগুলো ডিভাইসের সাহায্যে একটি রিং গঠন করে এবং এই রিং এ ঠিক দুটি প্রতিবেশী ডিভাইস পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে।

মেশ টপোলজি

মেশ টপোলজিতে প্রতিটি ডিভাইস নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকে।

ট্রি টপোলজি

এই টপোলজি বাস টপোলজি এবং স্টার টপোলজির বৈশিষ্ট্যগুলিকে একত্রিত করে। ট্রি বা বৃক্ষ টপোলজি হ'ল এক ধরণের কাঠামো যেখানে সমস্ত কম্পিউটার একে অপরের সাথে শ্রেণিবদ্ধ গঠনে সংযুক্ত থাকে।

হাইব্রিড টপোলজি

বিভিন্ন টপোলজির সংমিশ্রণই হাইব্রিড টপোলজি হিসাবে পরিচিত। হাইব্রিড টপোলজি হ'ল ডেটা স্থানান্তর করার জন্য বিভিন্ন লিঙ্ক এবং নোডের মধ্যে একটি সংযোগ।

নেটওয়ার্ক টপোলজি কি? উহা কত প্রকার ও কি কি?


নেটওয়ার্ক টপোলজিঃ

নোড এবং সংযোগকারী লাইন বা তারের মাধ্যমে প্রেরক এবং রিসিভারের সমন্বয়ে গঠিত একটি নেটওয়ার্কের বিন্যাসকে নেটওয়ার্ক টপোলজি বলা হয়।

বিভিন্ন প্রকার নেটওয়ার্ক টপোলজি নিম্নে দেয়া হল -

  1. স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজি

  2. বাস নেটওয়ার্ক টপোলজি

  3. রিং নেটওয়ার্ক টপোলজি

  4. মেশ নেটওয়ার্ক টপোলজি

  5. ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজি

  6. হাইব্রিড নেটওয়ার্ক টপোলজি

Featured Post

প্রোগ্রামিং ভাষা

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ: প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটি নির্দেশাবলীর সেট কে সংজ্ঞায়িত করে, যা একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে একসাথে সংক...